রাত প্রায় দুটো!
ঘুমের ঘোরে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠে অভ্র। বিছানায় বসে অরুকে ফোন দেয় সে।
- অরু আমার খুব ভয় হচ্ছে!
এতোরাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কথা শুনে চমকে উঠে অরু!
- কি হইছে তোমার?!!! কিসের ভয়?
.
অভ্র শান্ত গলায় বলে, - তোমাকে হারানোর ভয়!
- হারাবে কেন?
- আমার মত বেকার একটা ছেলের কাছে তোমার ফ্যামিলি তোমাকে বিয়ে দিবে?
- এখানকার ফ্যামিলি জব খোঁজে না!
- তাহলে?
- কিছুনা।
- প্লিজ বলো।
.
অরু খানিক সময় পর বলতে লাগলো,
- আমাদের সিলেটাঞ্চালে প্রথমে দেখে 'ছেলেটি 'UK'তে থাকে কিনা। নাহলে বড় ব্যবসা থাকতে হবে, এই আরকি....!
অভ্র মন খারাপের ভাব আড়াল করে বললো, - কিন্তু আমার তো কিছুই নেই।
অরু বললো, - সুন্দর একটা মন তো আছে!
- মন দিয়ে কি হবে অরু?
- আমাকে অনেক ভালোবাসতে পারবে না?
- হুম ভালোবাসি।
বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস উপহার দিয়ে অভ্র ফোন রেখে দিলো। সে জানে, বাস্তবতা অনেক কঠিন! সেই কঠিন বাস্তবতা অরু তার ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে পারবে কি....?!
.
রাগ, অভিমান আর ভালোবাসার দুষ্টুমিষ্টি খুনসুটি মিলিয়ে ভালোই চলছিলো দিনকাল।
একদিন সন্ধ্যাবেলা, অভ্রের ফোনের স্ক্রিনে অরুর কল ভেসে উঠলো। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মেয়েটির কন্ঠ!
- অভ্র আগামী শুক্রবার আমাকে দেখতে আসবে!
- কে?
- ছেলেপক্ষ!
- ওয়াও ভালো তো।
- সিরিয়াসলি বলছি!
.
এবার অভ্রের চাঞ্চল্যতা থেমে গিয়ে বিষন্নতার রূপ নিলো।
অরু বলছে......
- ছেলের নাম রবিন! UK তে থাকে। সামনের মাসে দেশে আসবে। আর তখনই আমাদের বিয়ের কাজটা সেরে ফেলবেন!!! (আম্মু বলছে)
.
ব্যাপারটা তখনও অভ্রের কাছে সিরিয়াসলি মনেহয়নি! কারন সে জানে, মেয়েরা প্রায়সময় ছেলেদেরকে বিয়ের কথা বলে ইমোশনাল করার চেষ্টা করে।
কিন্তু তার ভাবনার ঘোর ভাঙ্গলো প্রায় সপ্তাহ খানেক পর! অরুর ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট, নাম্বার অফ! সব যোগাযোগ বন্ধ!!!
.
.
ওপাশের মেয়েটি হয়তো ভালোবাসার রঙে অন্যের জগৎ রাঙিয়ে তোলার চেষ্টা করছে আর বেকার ছেলেটি তখন মরে যাওয়ার জন্য পায়তাড়া খোঁজছে!
.
এভাবেই নিঃশ্বেস হয়ে যায় একজন বেকার ছেলের স্বপ্নে সাঁজানো ভালোবাসা।
.
.
ষংকলিত (Akram Hussai)