-মা দেখেন না আপনার ছেলে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে না?
-আস্তে সব কথায় আম্মাকে ডাকতে হয় নাকি।কে বলছিলাম হাত কাটতে হু।এখন চামচ দিয়ে খাও।আমি খাইয়ে দিতে পারব না।
-এখন দোষ'ত আমারি তোমার জন্য রান্না করতে গিয়ে'ইত হাত কাটছি।
-এ কচু আজকের রান্নাটা ত আর তুমি কর নাই।
-কীভাবে করব হু হাত'ত কেটে গেছিল।
-ভাল হয়ছে এখন বাম হাত দিয়ে খাও।
.
এটা বলে আমার হেসে উঠা দেখে ও রাগে ফুসতে লাগল।তারপর জোরে আম্মাকে ডাক দিল।অতঃপর আম্মার রুম থেকে।
.
-কি হল বউমা?
-দেখেন না মা আপনার ছেলে আমাকে যা তা বলতেছে।আমি নাকি শুধু খাইতে জানি রান্না করতে জানি না।আর আমাকে খাইয়ে না দিয়ে উল্টো বলতেছে আমি নাকি বাম হাত দিয়ে খেতাম।
.
কথাটা শুনে তাড়াতাড়ি এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলাম।শুধু খাইতে জানে রান্না করতে জানে না এসব কখন বললাম আবার।এটাত বউ না পুরাই ঝালমরিচ সবখানে জামাইকে ফাসানোর চেষ্টা।অতঃপর আম্মার আগমন।আমার দিকে বিরাট রাগের লুক নিয়ে।
.
-তাড়াতাড়ি খাইয়ে দেয়।আমি একটু পর এসে যদি না দেখি তাহলে তোর দুই দিন খাওয়া বন্ধ।
.
এটা বকে আম্মা চলে গেল।আমার বেকুবের মত চেহারা দেখে যেন ওনার মুখে হাসির রুল পড়ল।ইচ্ছে করছে কাছে গিয়ে গালে একটা কামড় দিয়ে দি'ই।অতঃপর খাইয়ে দিতে শুরু করলাম।
.
-ওকে এখন যান।আমি আমার পেট ভরি।
-আমার হাত যদি না কাট'ত আমিও আমার বরটাকে খাইয়ে দিতাম।
-অবুক তাই আমাকে আম্মার কাছ থেকে বকা শুনিয়ে এখন আবার পাম্প দিচ্ছে।যান গিয়ে ঔষুধ খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।
.
-এই আমাকে কোলে করে রুমে দিয়ে আস'ত।
.
সিড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকে কথাটা বলে ব্যাথা পাওয়ার বনিতা করতে লাগল।
.
-পায়ে কি হল আবার?
-সিড়ি দিয়ে উঠার সময় ব্যাথা পাইছি।
-ও তাই দেখিত কোন পায়ে ব্যাথা পাইছ আর ও মুছড়ে ভেঙে দি'ই।
-কি আম্মা!!
.
এটা বলে জোরে আম্মা বলে ডাক দেওয়ার সময় মুখটা চেপে ধরে বললাম।
.
-আচ্ছা আচ্ছা নিচ্ছি।
-হিহিহি নাও কোলে নাও?
-এত বড় আঠার বস্তাটাকে তুলতে পারব কিনা সন্দেহ।
-কি আমি আঠার বস্তা।
.
এটা বলে বাম হাত দিয়ে জোরে জোরে বুকে কিল ঘুষি দিতে লাগল।
.
-এই তুমি না ব্যাথা পাইছ?এত শক্তি পেলে কোথা থেকে ব্যাথা পাচ্ছি ত?
-নিবা নাকি আর ও দিব।আর আমি আঠার বস্তা?
-না না আলিয়া
এই বলে কোলে নিলাম।দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কেটে হাসতে লাগল।যত'ই হোক আমার বউটাকে হাসিতে কিন্তু ধারুন সুন্দর লাগে।
.
সংকলিত (রক্তাক্ত লেখক হিমু)
No comments:
Post a Comment