গৃষ্মের শুরুর দিক! দুপুরের কড়া রোদের মধ্যে পাশের গলি দিয়ে হেটে চলেছে সায়ান... সকাল থেকে কিছু না খাওয়াই পা যেন
আর উঠছেনা ছেলেটির। বুঝতে পারছি কেন জানি আজ আমাকে বেকার জীবন কুড়েকুড়ে
খাচ্ছে! অনেক শুনেছি বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কিন্ত এই প্রথম বাস্তবে
তাই বুঝতে পারছি। আজ কেউ নেই সায়ানের জন্য অহেতুক আশ্বাস দেখিয়ে কথা বলার
মত। অনেক কষ্ট হচ্ছে সময়টাকে বিশ্বাস করতে! (এগুলোই পথ চলতে চলতে ভাবছে সায়ান) ইতিমধ্যে গা ঘেমে গেঞ্জিটা ভিজতে শুরু করেছে।
বিকেলে একটা বেঞ্চে বসে আছে সায়ান, কিছু একটা ভাবতে ভাবতে চোখ থেকে অঝরে পানি পড়ছে ছেলেটির। কান্নার কোন শব্দ নেই তবুও যেন চোখের পানি বাধ মানছে না। কি অদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখিন আজ। কৈ কেউ নেইতো আজ আমার পাশে। এমনকি পরিবারও পাশে নেই আজ! শুরু হতে লাগলো মনের রক্তক্ষরন। ভালো সময়ে অনেকেই বন্ধু হয়। কিন্ত কেউ বেকারের বন্ধু হয় না, ফোনটা হাতে নিয়ে প্রায় কয়েক জনকে ফোন দিলাম। কেউ কেউ রিসিভ করলো না আবার কেউ কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটা রেখেদিলো। কষ্টের মাত্রাধীক বেড়ে গেলো, এটাই বুঝি বন্ধুত্ব!
সময়টা বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যায় অতিক্রম করার মত। বেঞ্চ থেকে উঠে এ.টি.এম থেকে কিছু টাকা তুললো সায়ান, পাশেই একটা রেস্টুরেন্ট। সেখানে গিয়ে একটু খাবার খেয়ে নিলো, সারা দিন কিছু না খাওয়াই তেমন কিছুই খেতে পারলো না সে।
সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা চলে গেলো একটি নৈশক্লাবে, অনেক শুনেছি রঙ্গ-মঞ্চে মন ভালো করার ওষুধ পাওয়া যায়.., একবার দেখিই না গিয়ে. কেমন লাগে! সায়ান যে এখানে নতুন, কথনো আশা হয় নি। ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষনপর আলো নিভে অন্ধকার হয়ে গেল, এ যেন এক অন্যরকম পরিবেশ। বিভিন্ন প্রকার লাইটিংএর সাথে রিমিক্স গানে বুকটা কাপতে লাগলো সায়ানের...
ভেতর থেকে একটা সিগারেট নিলো সায়ান, ঠোটে লাগিয়ে আগুন দিয়ে টান দিতেই একগাদা ধোয়া গিয়ে বুকটা আটকে গেল.. খকখক করে কয়েকবার কাঁসতে লাগলো সায়ান। তবুও দুই আঙ্গুলের মাঝে সিগারেটটি ধরা আছে, অনেক শুনেছি সিগারেটের আগুন মানুষের কষ্টগুলোকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়! আজ দেখিই না কেমন করে?
সামনেই নাইটক্লাবের মেয়েরা হেলেদুলে নাচতে শুরু করেছে, পরিবেশটা মৃদু ঝকমকে আলোই দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। বিপরীত পাশের টেবিলে একটি লোক বসা সামনের বোতল থেকে কি যেন গ্লাসে ঢেলে ডকাডক খাচ্ছে। লোকটির হাতের ইশারাই আমায় ডাকদিলো। তার টেবিলে তারই পাশে গিয়ে বসলাম, লোকটি বলল-
বিকেলে একটা বেঞ্চে বসে আছে সায়ান, কিছু একটা ভাবতে ভাবতে চোখ থেকে অঝরে পানি পড়ছে ছেলেটির। কান্নার কোন শব্দ নেই তবুও যেন চোখের পানি বাধ মানছে না। কি অদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখিন আজ। কৈ কেউ নেইতো আজ আমার পাশে। এমনকি পরিবারও পাশে নেই আজ! শুরু হতে লাগলো মনের রক্তক্ষরন। ভালো সময়ে অনেকেই বন্ধু হয়। কিন্ত কেউ বেকারের বন্ধু হয় না, ফোনটা হাতে নিয়ে প্রায় কয়েক জনকে ফোন দিলাম। কেউ কেউ রিসিভ করলো না আবার কেউ কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটা রেখেদিলো। কষ্টের মাত্রাধীক বেড়ে গেলো, এটাই বুঝি বন্ধুত্ব!
সময়টা বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যায় অতিক্রম করার মত। বেঞ্চ থেকে উঠে এ.টি.এম থেকে কিছু টাকা তুললো সায়ান, পাশেই একটা রেস্টুরেন্ট। সেখানে গিয়ে একটু খাবার খেয়ে নিলো, সারা দিন কিছু না খাওয়াই তেমন কিছুই খেতে পারলো না সে।
সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা চলে গেলো একটি নৈশক্লাবে, অনেক শুনেছি রঙ্গ-মঞ্চে মন ভালো করার ওষুধ পাওয়া যায়.., একবার দেখিই না গিয়ে. কেমন লাগে! সায়ান যে এখানে নতুন, কথনো আশা হয় নি। ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষনপর আলো নিভে অন্ধকার হয়ে গেল, এ যেন এক অন্যরকম পরিবেশ। বিভিন্ন প্রকার লাইটিংএর সাথে রিমিক্স গানে বুকটা কাপতে লাগলো সায়ানের...
ভেতর থেকে একটা সিগারেট নিলো সায়ান, ঠোটে লাগিয়ে আগুন দিয়ে টান দিতেই একগাদা ধোয়া গিয়ে বুকটা আটকে গেল.. খকখক করে কয়েকবার কাঁসতে লাগলো সায়ান। তবুও দুই আঙ্গুলের মাঝে সিগারেটটি ধরা আছে, অনেক শুনেছি সিগারেটের আগুন মানুষের কষ্টগুলোকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়! আজ দেখিই না কেমন করে?
সামনেই নাইটক্লাবের মেয়েরা হেলেদুলে নাচতে শুরু করেছে, পরিবেশটা মৃদু ঝকমকে আলোই দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। বিপরীত পাশের টেবিলে একটি লোক বসা সামনের বোতল থেকে কি যেন গ্লাসে ঢেলে ডকাডক খাচ্ছে। লোকটির হাতের ইশারাই আমায় ডাকদিলো। তার টেবিলে তারই পাশে গিয়ে বসলাম, লোকটি বলল-
-- কি.কষ্ট, কষ্ট?
তখন চুপচাপ লোকটির কথা শুনে তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে সায়ান। তার চোখ দুটিই যেন বলে দিতে পারে তার মধ্যে কতটুকু কষ্ট লুকিয়ে রাখা। কতটা স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনার যন্ত্রনা।
-- শোনো জীবনটা এত সহজ না । সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করাই জীবনের আসল পরিচয় ।
লোকটির কথা শুনে যতটানা হতাশ হয়েছি তার থেকে বেশি চমকে যায় সায়ান। সামনের বোতলটা নিচ করে গ্লাসে ঢেলে দুচোখ বন্ধ করে ঢকঢক করে একগ্লাস খেয়ে নেয় সায়ান।
বিকট গন্ধে গলাটা জ্বলে যাচ্ছে! একটু পর বুঝতে পারলাম চারদিকটা এলোমেলো মাথাটা ঝিনঝিন করছে। সারা শরীর যেন হালকা হতে লাগলো, কিন্ত মাথাটা ভীষন ভারীি অনুভব করলাম। বোতল নিচ করে আরো এক গ্লাস ঢালতে গেলে লোকটির বাধা পায় সায়ান। রাত ঠিক কতটুকু জানা নেই, চোখে যেন সবকিছু ঝাঁপসা।
লোকটি
বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে, লোকটি যাওয়ার পর বুক কাপানো গানের তালে নিজেকে
হারিয়ে ফেলে সায়ান। ঠিক কি হতে লাগলো কিছুই মাথায় ঢুকলোনা। ঢুকানোর চেষ্টাও করে না সায়ান। একটু পর বাইরে চলে আসে। মাথাটা টলটল করছে. ঠিক দিক ঠিক করতে পারছিনা। হঠাত দ্রুত
গতির একটা গাড়ি সামনে এসে ব্রেক করলো। বুকটা দুরু দুরু কেপে উঠে সায়ানের। লোকটি বলল
এই যে ভাই রাস্তার সাইডে মাতলামির জায়গা আছেতো। আমি যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি এক
অজানা নিরুদ্বেশে।
রাস্তার ল্যাম্পপোষ্টের নিচে হঠাত বসলো সায়ান, একটু চিন্তার জগতে চলে গেলো ছেলেটি আসলেই কি আমি এমন? কেন
আমি আজ নষ্ট ছেলেদের মত রাস্তায় মাতালের মত বেড়াচ্ছি? তাহলে কি আমি আজ
নষ্ট ছেলে?
রাস্তার মাঝে চিৎকার করে বলতে লাগলো সায়ান, আমি নষ্ঠ ছেলে না, আমিও বাচতে চাই অন্য সবার মত, আজ বেকার বলে এভাবে সবাই ধিক্কার জানায় কেন? বলতে বলতে বাসার দিকে রাওনা দিলো সে। হয়তো তার এই চিৎকার কেউ শুনছেনা, কেউ বুঝতেও পারছেনা তার এখনকার মনের অনুভুতি, কিন্ত সাবাই তার বাইরের অনুভিতি ঠিকই বুঝতে পারবে ।
রাস্তার মাঝে চিৎকার করে বলতে লাগলো সায়ান, আমি নষ্ঠ ছেলে না, আমিও বাচতে চাই অন্য সবার মত, আজ বেকার বলে এভাবে সবাই ধিক্কার জানায় কেন? বলতে বলতে বাসার দিকে রাওনা দিলো সে। হয়তো তার এই চিৎকার কেউ শুনছেনা, কেউ বুঝতেও পারছেনা তার এখনকার মনের অনুভুতি, কিন্ত সাবাই তার বাইরের অনুভিতি ঠিকই বুঝতে পারবে ।
সংকলিত (নীল শফিক)
No comments:
Post a Comment