রাহুল আর নিলয় দুই বন্ধু।
একই কলেজে পড়ে দুজন। বেশিরভাগ সময় এক সাথেই থাকে বলতে গেলে।
.
এইতো সেদিন রাহুল কলেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ নিলয়ের বাবার সাথে দেখা...
.
-- আস্সালামুআলাইকুম, আঙ্কেল...
.
-- অলাইকুমআস্সালাম, বাবা কোথায় যাচ্ছো.?
.
-- এইতো ক্যাম্পাসে যাচ্ছি আঙ্কেল। কেন কোনো দরকার আঙ্কেল?
.
-- বাবা রাহুল, এই টাকাগুলা রাখো। একটু কষ্ট করে নিলয়কে পৌঁছে দিয়ো। ওকে তো খুঁজে পেলামনা। মোবাইলও অফ। ও বলছিল ওর বই কেনার জন্য কিছু টাকা লাগবে।
.
-- চাচা,আপনি টেনশন করবেন না। নিলয়কে খুঁজে আমি টাকাটা পৌঁছে দিচ্ছি।
.
রাহুল টাকাটা নিয়ে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে নিলয়কে খোঁজে। দেখে গাছের আড়ালে নিলয় প্রেম করছে তার নতুন প্রেমিকার সাথে। নিলয়কে ডাক
দিয়ে এদিকে নিয়ে আসে রাহুল...
.
-- তোকে এই টাকা গুলা চাচা দিয়ে গেছেন।
.
-- যাক। টেনশান মুক্ত হলাম।
.
-- তোর নাকি বই কিনার কথা? একমাস আগে না কিনলি?
.
-- হ্যাঁ। এখন টাকা চেয়েছি কারণ গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন তিনদিন পর। ওকে দামী গিফট করতে হবে।
.
রাহুল স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। নিলয়ের বাবা সামান্য ব্যবসায়ী। সংসারই
চালাতে পারেন না ঠিকমতো। না জানি কত কষ্ট করেই নিলয়কে এই টাকাটা পাঠিয়েছেন। হয়তো এর জন্য ওনাকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে , ধার করাও লাগতে পারে। আর নিলয় কিনা?!!
.
নিলয়ের বাবার কষ্টভরা আর চোখের জলে ভেজা মুখটা রাহুলের
স্মৃতিতে ভেসে এল।
নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলো না। খুব জোড়ে ঘুষি মারলো নিলয়ের নাক লক্ষ্য করে। রক্ত বেরিয়ে এলো ।
.
অতঃপর রাহুল নিলয়কে থুথু ছিটিয়ে পেছন ফিরে চলে আসতে লাগলো ।
.
আর ভাবতে লাগলো...
এতোদিনে হয়তো একটা ভাল কাজ করতে পেরেছি...
something missing
ReplyDeletewhat missing bro??
ReplyDelete