Thre Dream

নদী...
এই নদী.....
হুমম...বলো কি?
আমার টাই টা কোথায় দেখোতো...
দাড়াও দিচ্ছি....
এই নাও.....(চলে যাচ্ছে)
আরে কোথায় যাচ্ছো(এক টানে বুকের মাঝখানে নিয়ে)
কাজ আছে অনেক ছাড়ো....
টাই টা পড়ে দিবে কে আরেকজন ....
কি বললা আরেকজন মানে.....আমি পড়িয়ে দিচ্ছি....
ওকে.....
একটা কথা শুনবা......
হুম বলো...
একটা পাপ্পি দাওনা....
তুমি না একটু বেশি দুষ্টু হয়ে গেছো....
কেনো....
যখন তখন পাপ্পি চাও......
ওহ্ হ্যালো,এটা আমি তোমাকে বাসর রাতে বলেছি যে,অফিস যাওয়ার আগে একটা পাপ্পি দিতে হবে না হলে অফিস যাবো না........
ঠিক আছে দিচ্ছি......
কিন্তুু আজকে অন্য রকম দিতে হবে.....
মানে.....
মানে হলো আগে দিতে গালে কিন্তুু এখন দিতে হবে ঠোটে...
পারবোনা না.....
ওকে অফিস যাবো না আজকে দেখি পার্কে কোনো মেয়ে আছে নাকি তবে তার থেকেই নিয়ে নিবো....
ওই হারামি ছেলে কি বললা...
ঠিকি তো বলেছি...
একবার বলেছি দিবোনা তাই বলে অন্য মেয়ের কাছে যাবা....
তো কি করবো.....
অপেক্ষা করবা.....বার বার চাইবা....
কই দাও......
দিবো কিন্তুু অফিসে যেতে দিবো না আজকে.....
কেনো...
যদি অন্য মেয়ের কাছে চলে যাও তাহলে.....
আরে কে বললো যাবো আমি তো এমনি বললাম(এবার আজকে হলো অফিসে যাওয়া)
না আমি জানি তো......
সত্যি বলছি সোনা আমি কারো কাছে যাবো না সোজা অফিসে জাবো আজকে অফিসে নতুন বস আসবে না গেলে চাকরি শেষ.....
ওকে কথা দাও সোজা অফিস যাবা আর সোজা বাসায় আসবা.....
হুম কথা দিলাম.....
কিন্তুু ওইটা দাও.....
ওমমমমমমমমমমমম(আসলে ঠোঠের সাথে ঠোঠ জোড়া লাগলে একটা অন্য রকম ফিলিংস কাজ করে।শুধু গল্পতে কারন আমার বিয়েও হয়নি আর ওইটা কোনো দিন পাইনি)
.
.
.
.
অফিসের যাওয়ার জন্য নিচে থেকে গাড়ি বের করলাম....
আর "নদী" উপরে দাড়িয়ে থেকে আমাকে দেখছে কারন যদি পার্কে যাই,মানে আমাদের বাসার হাতের ডানদিক রাস্তা দিয়ে গেলে অফিস আর বাম রাস্তা দিয়ে গেলে পার্ক তাই দেখছে আরকি.....

অফিসে আসলাম....একটু লেট হলো...
কিন্তুু খুশির খবর হলো নতুন বস এখোনো আসেনি....

আমি সানভি রাহমান চৌধুরি।আর বাসার যার কাছ থেকে আদর নিয়ে আসলাম সে হলো আমার জানের জান পরানের পরান,আমার স্ত্রী নদী।১ বৎসর চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ে করেছি.....।

আমি হলাম এই অফিসের জুনিয়র বস।কারন এই অফিসের মালিক আমার নিজের মামা।সিনিয়র বস তিনি ছিলেন কিন্তুু মামা একা বিদেশে চলে যাবে...তাই তার ছেলেকে এই অফিসের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন.‌...।

অফিসে বসে একটা ফাইল দেখছিলাম....
স্যার আসবো.....
আরে পিয়ন চাচা....কেমন আছেন...?
জি স্যার ভালো....
তো কি বলবেন....
স্যার অফিসের নতুন বস আজকে আসার কথা কিন্তুু আজকে তিনি আসবে না তাই আপনি চাইলে অফিস ছুটি দিয়ে দিতে পারেন।
ভাবলাম অফিসে তেমন কাজ জমা হয়নি....
ঠিক আছে....আমি চলে যাচ্ছি আপনি সব গেট বন্ধ করে দেন।

দুপুরের দিকে বাসায় ফিরলাম.....
দরজায় কলিং বেল বাজালাম না হলেও ১৫ বার কিন্তুু খুলছে না কেনো.....
আর একবার বাজাতে খুলে গেলো......
ওহ্ তুমি....
এতো দেরি হলো কেনো দরজা খুলতে.....
আমি ভাবছি তুমি তো এসময় আসো না তাই কে না কে সেজন্য খুলছি না....
হুম বুজলাম.....ক্ষুধা লাগছে কিছু দিবা.....
তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো আমার রান্না এখনো শেষ হয়নি....
ওকে.....
.
.
.
ভাবলাম ফ্রেশ হয়ে একটু রুমে গিয়ে বসি।কিন্তুু একটু মনে দুষ্টু দুষ্টু ভাব এলো সো কি করা সোজা কিচেন রুমে...
রান্না করছে......
গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম.....
আরে কি করছো....
কি করলাম.....
জড়িয়ে ধরলে রান্না করবো কিভাবে.......
রান্না করতে হবে না.....
কেনো.....
আমার খাবার না হলে ও চলবে কিন্তুু ওইটা দিলেই হবে...
জিনা,আপনি না খেয়ে থাকতে পারবেন কিন্তুুু আমি না।
ওকে ঠিক আছে,রান্না করো আমি গেলাম রুমে(কিছুটা অভিমান নিয়ে)

এই খাবার খেতে আসো....
আমি শুনে ও না শোনার ভান করে বসে আছি....
একটু পর নদী রুমে আসলো.....কি হলো শুনতে পাওনি চলো খাবে।
না আমার ক্ষিদে নেই..
মানে.....
আমার ক্ষিদে নেই এখানে মানে কোথা থেকে আসলো...
ওলে আমার বাবুটা রাগ করেছে....
এই খবরদার আমাকে বাবু বলবে না আমি বাচ্চা নাকি...
না তুমি বাচ্চা ও নও বাবুও নও এবার খেতে চলো....
খেতে পারি কিন্তুু একটা শর্ত.....
কি....
আমাকে তুলে খাওয়াতে হবে.....
হুমম সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তুু আমাকে কে খাইয়ে দেবে..
কেনো আমি....
তাহলে চলো......

আমি ওকে তুলে খাওয়াচ্ছি আর ও আমাকে কি যে মজা হচ্ছে খাবারের স্বাদ টা দ্বিগুন হয়ে গেছে....

কিছু কিছু ভালোবাসা এমনি হয় যেমন চাওয়া যাই তেমনি পাওয়া যাই......।

সো আপনারা ও ট্রাই করবেন এরকম ভালোবাসা পাওয়ার জন্য

আর কিছু লিখছি না হাত ব্যাথা হয়ে গেছে...

কারো মনে একটু দয়া থাকলে হাত ব্যাথার ঔষুধ এনে দিয়েন......